স্বাধীনতা উত্তর যুদ্ধ বিধ্বস্থ বাংলাদেশে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মেরামত সংস্কার এবং নতুন নতুন ভবন নির্মাণের জন্য ডিপিআই (ডিপার্টমেন্ট অব প্রাইমারী এডুকেশন) এর অধীনে ফ্যাসিলিটিজ ডিপার্টমেন্ট নামে একটি “প্রকৌশল ইউনিট” গঠিত হয়। পরবর্তীতে ২০০২ সালে উক্ত ইউনিটকে প্রকৌশল অধিদপ্তর (ইইডি) নামে পূর্ণাঙ্গ প্রকৌশল বিভাগে রূপান্তরিত করা হয়। সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে এবং দেশের প্রতিটি মানুষকে নিরক্ষরতার অভিশাপ থেকে মুক্তি করতে এ অধিদপ্তর কাজ শুরু করে। কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড গুলো বাংলাদেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পায় । শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন, নতুন ভবন নির্মান, বিদ্যমান ভবনগুলোর সম্প্রসারন ও রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত ও সংস্কার এবং আসবাবপত্র সরবরাহ করার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। সারা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অজস্র স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, কারিগরিসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। অধিদপ্তরের নিবেদিত প্রকৌশলী ও কমকর্তা-কর্মচারীগণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের উন্নততর অবকাঠামো তৈরি করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন । দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে যুগোপযোগী ও মানসম্মত শিক্ষার প্রসারে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম, আইসিটি ল্যাব স্থাপন, ইন্টারনেট সংযোগ, আইসিটি সুবিধাসহ ভবন নির্মাণ করে যাচ্ছে।
সবার জন্য মানসম্মত ও যুগোপযোগী শ্রেণিকক্ষ নির্মাণ এবং সুশিক্ষিত, দক্ষ ও উন্নত নৈতিকতা সম্পন্ন মানব সম্পদ সৃষ্টি করার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়ন ও আধুনিকায়নে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে প্রকৌশলী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগন নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কার্যাবলী:
• শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নতুন ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা, ডিজাইনিং, পরিবীক্ষণ ও উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন;
• স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নুতন ভবন নির্মাণ, পুনর্নির্মাণ,
মেরামত ও সংস্কার, আসবাবপত্র সরবরাহ ইত্যাদি।
• শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ-এর অধীনে শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানসমূহের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন।
• অন্য মন্ত্রণালয় বা সংস্থার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন কাজ বর্তালে তা বাস্তবায়ন ইত্যাদি।